প্রিয় মু‘মিন ভাই ও বোনেরা!

আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন আমাদের নিজেদেরকে ও আমাদের পরিবারবর্গকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে। ইসলামের জ্ঞান অর্জন এবং সেই জ্ঞানের বাস্তব আমল ছাড়া তাঁর এই আদেশ পালন করা সম্ভব নয়। কাজেই আসুন আমরা আমাদের নিজেদেরকে ও আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে ইসলামের জ্ঞানে পারদর্শী করে তুলি যাতে আল্লাহ তা‘আলার এই আদেশটি পালন করতে পারি। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: أَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُواْ قُواْ أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَاراً وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَـئِكَةٌ غِلاَظٌ شِدَادٌ لاَّ يَعْصُونَ اللَّهَ مَآ أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে আগুন (জাহান্নাম) থেকে বাঁচাও যার জ্বালানি হচ্ছে মানুষ ও পাথর, (এবং) যার উপর (নিযুক্ত) রয়েছে নির্মম-হৃদয়, শক্তিশালী ও ভীতিকর ফেরেস্তাগণ যারা আল্লাহ যা আদেশ করেন তা অমান্য করেনা বরঞ্চ যা করতে বলেন তাই করে। সুরাহ আত-তাহরিম ৬৬:৬

কাদের জন্য এই মাদ্রাসা

মাদ্রাসাটি পুরোপুরি আবাসিক। এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জিলা থেকে আসা ছাত্রীরা অধ্যয়ন করছে। সাত বৎসর বয়স থেকে শুরু করে কলেজে পড়া ও হেফজ পাশ করা মেয়েরা এবং বিবাহীতা নারীরা এখানে এসে ভর্তি হয়। কম বয়সী মেয়েদেরকে নিয়মিত শ্রেণী ভিত্তিক শিক্ষা দান করা হয় অর্থাৎ তারা নার্সারী থেকে শুরু করে ক্রমান্নয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে। কিন্তু বেশি বয়সের, বিশেষ করে, যারা স্কুল, কলেজ বা হেফজ পড়ে আসে তাদের জন্য শারীয়া শ্রেণী নামে এক বিশেষ শ্রেণী খোলা হয়েছে। ইহা করা হয়েছে এই বিবেচনা করে যে অনেকে হয়ত আরবী পারেনা, আবার কারও হয়ত আরবীতে দক্ষতা আছে কিন্তু কুরআন-হাদিসের জ্ঞান নেই তাহলে এরা কোন্ শ্রেণীতে পড়বে? কাজেই তারা যে বিষয়টি ভাল পারেনা সে বিষয়টি নিচের শ্রেণী থেকে পড়বে এবং যে বিষয়টি ভাল পারে সে বিষয়টি উপরের শ্রেণী থেকে পড়বে। শুধু তাই নয়, কেউ চাইলে সে তার নিজের জন্য যে কোন বিষয় বেছে নিতে পারবে। ধরা যাক রিয়াদুস-সালিহীন; এই হাদিসের কিতাবটি তৃতীয় শ্রেণী থেকে শুরু করে ১০ম/১১দশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। একজন শারীয়া শ্রেণীর ছাত্রী চাইলে সে এই রিয়াদুস-সালিহীন একাধিক শ্রেণীর সাথে পড়তে পারবে।





আমাদের মাদ্রাসাদ্বয়ের বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যঃ

একই সাথে দাওরা এবং অর্থসহ পবিত্র কুর‘আন হেফজ করানো হয় যা দেশের অন্য কোথাও নেই।
ভেজালমুক্ত ইসলাম অর্থাৎ সরাসরি পবিত্র কুর‘আন ও সহীহ হাদিসের আলোকে ইসলাম শিক্ষা দেয়া হয়।
অর্থ ও তাফসিরসহ পুরো কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়।
হাদিসের কিতাবসমুহ যেমন রিয়াদুসসালিহীন, বুলুগআলমারাম, বুখারী, মুসলিম, তিরমিদি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও নাসাঈ সবগুলো সম্পূর্ণ পড়িয়ে শেষ করা হয়।
জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে তা আমলে পরিণত করানো হয়।
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি ও অংক পড়ানো হয়।



  • আমাদের ইসলাহুননিসা মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী




  • আমাদের আত-তাওহীদ ওয়াস-সুন্নাহ বালক মাদ্রাসার ছাত্র


আমাদের মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষার কয়েকটি লিখিত পত্র






পাঠদানের প্রধান বিষয়াবলী

০১

আল কুর'আন

প্রতি শ্রেণীতে কুরআন মুখস্থ করানো হয় এবং অর্থসহ তরজমা শিখানো হয়।

০২

রিয়াদুস সালিহীন

এখানে তৃতীয় শ্রেণী থেকে রিয়াদুস সালিহীন শিক্ষা দেয়া হয়।

০৩

বুখারী

৮ম শ্রেণী থেকে দাওরা শেষ হওয়া পর্যন্ত বুখারী থেকে শিক্ষা দেয়া হয়।

০৪

মুসলিম

৮ম শ্রেণী থেকে দাওরা শেষ হওয়া পর্যন্ত মুসলিম থেকে শিক্ষা দেয়া হয়।

০৫

তিরমিযি

৮ম শ্রেণী থেকে দাওরা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিরমিযি থেকে শিক্ষা দেয়া হয়।

০৬

আবু দাউদ

৮ম শ্রেণী থেকে দাওরা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিরমিযি থেকে শিক্ষা দেয়া হয়।

০৭

ইবনে মাজা

৮ম শ্রেণী থেকে দাওরা শেষ হওয়া পর্যন্ত ইবনে মাজা থেকে শিক্ষা দেয়া হয়।

০৮

সুনান নাসাঈ

৮ম শ্রেণী থেকে দাওরা শেষ হওয়া পর্যন্ত সুনান নাসাঈ থেকে শিক্ষা দেয়া হয়।

০৯

বুলুগুল-মারাম

৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত বুলুগুল-মারাম শিক্ষা দেয়া হয়।

১০

আর-রাহিকুল মাখতুম

৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত আর-রাহিকুল মাখতুম শিক্ষা দেয়া হয়।

১১

সালাত শিক্ষা

নার্সারী থেকে সালাত শিক্ষার বাস্তব ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

১২

কায়দা শিক্ষা

নার্সারী থেকে কায়দা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

১৩

বাংলা শিক্ষা

নার্সারী থেকে বাংলা শিক্ষা দেওয়া হয়।

১৪

অংক শিক্ষা

নার্সারী থেকে অংক শিক্ষা দেওয়া হয়।

১৫

ইংলিশ শিক্ষা

নার্সারী থেকে ইংলিশ শিক্ষা দেওয়া হয়।

১৬

দৈনন্দিন জীবনের আমল এবং তাওহীদ শিক্ষা

নার্সারী থেকে শিক্ষা দেওয়া হয়।

১৭

আমাদের নবী ও তার আদর্শ

৫ম শ্রেণীতে শিক্ষা দেওয়া হয়।

১৮

এসো আরবী শিখি

৩য় শ্রেণী থেকে শিক্ষা দেওয়া হয়।

১৯

আরবী ব্যাকরণ

(মিজান, মুনশাইব, সাফওয়াতুল মাসাদির, নাহবেমির, ইলমুছছরফ, হেদায়েতুন্নাহু, ইলমুছছিগা, আরবী সাহিত্য ইত্যাদি)

ভর্তি তথ্য

আমরা যেকোন সময়ে ভর্তি করি। তবে আমাদের একাডেমিক বৎসর শুরু হয় রমজানের পর থেকে। নার্সারী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা, অংক ও ইংরেজী শিক্ষা দেয়া হয়। সমাপনী বা দাখিল পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়।


পড়ার খরচঃ

  • ভর্তি ফিসঃ ২৫০০ টাকা

মাসিক বেতন ও খানা বাবত ফিঃ

  • স্পেসাল> ৩০০০টাকা
  • নরমাল> ২০০০ টাকা

তথ্যসমূহ

ভর্তি
আমরা যেকোন সময়ে ভর্তি করি। তবে আমাদের একাডেমিক বৎসর শুরু হয় রমজানের পর থেকে।
মহিলা
নার্সারী থেকে দাওরায়ে হাদিস (অর্থাৎ ১৩তম শ্রেণী) পর্যন্ত শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
বালক
নার্সারী থেকে দাওরায়ে হাদিস (অর্থাৎ ১৩তম শ্রেণী) পর্যন্ত শিক্ষা দেয়া হবে, ইনশা আল্লাহ। বর্তমানে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, প্রতি বৎসর একটি করে শ্রেণী বাড়ানো হবে।

ক্লাশ চলার তথ্য

  • ক্লাশ শুরুঃ সকাল ০৮:০০ ঘটিকায়
  • বিরতিঃ দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায়
  • ছুটির সময়ঃ বিকাল ০৩:৪৫ ঘটিকায়
  • সাপ্তাহিক ছুটিঃ শুক্রবার।

পড়ার বিষয় সমূহ

  • আল-কুর'আন
  • তাওহীদ ও ইসলাম শিক্ষা
  • সালাত (নামাজ) শিক্ষা
  • অংক শিক্ষা
  • ইংরেজী শিক্ষা
  • রিয়াদুস সালিহীন
  • বুলুগ আল-মারাম
  • আর-রাহিকুল মাখতুম
  • সহিহুল বুখারী
  • মুসলিম
  • নাসাঈ
  • ইবনে মাজাহ
  • আবু দাউদ
  • তিরমিযি
  • আরবী ব্যাকরণ ও ভাষা শিক্ষা

শিক্ষক মন্ডলী

  • বালক শাখায় ৭ জন শিক্ষক
  • বালিকা শাখায় ১৫ জন শিক্ষক
  • অফিস সহকারি ২ জন